বাসন্তি রেমার কলাবাগান কেটে ফেলার পর ধারদেনা, ঋণ, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে স্বপ্ন ভেঙ্গে গিয়েছিল। চিন্তায় পড়েছিলেন তিনি। কিভাবে চলবে তার সংসার। এ সময় পাশে এসে দাঁড়ায় কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, মানবাধিকার কর্মী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তাদের সহযোগিতায় ধারদেনা, ঋণ পরিশোধ করে এখন তার কেটে ফেলা কলাবাগানের জমির একপাশে একটি মুদির দোকান করে সংসার চালাবে এমন চিন্তায় ভাবনায় বাসন্তি নতুন করে স্বপ্নের জাল বুনতে শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে মধুপুর উপজেলার পেগামারি গ্রামের কলার জমিতে সকলের সহযোগীতায় একটি মুদি দোকান ঘর তোলার কাজ শুরু করে। আর মুদি দোকান ঘর কাজের উদ্বোধন করেন উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরামের সহসভাপতি সাংবাদিক আনছার আলী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ, ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ডন যেত্রা, কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাদিল মৃ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কেনেডি রিছিল, এলাকাবাসী মারকিন রেমা, বাসন্তী রেমার আত্মীয় সুকৃতি যেত্রা ও বাসন্তী রেমা। এ সময় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
বাসন্তী রেমা জানান, সকলের সহযোগীতায় সে ইতিমধ্যে আমার বাড়ী আমার খামারে ৫৩ হাজার ২০০ টাকা, থাংআনি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের ৪৪ হাজার ১৫০ টাকা, আশা এনজিও’র ৪৪ হাজার ৮১৮ টাকা, বাওগাওয়া ১৯ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে একটি দোকান করে সংসার চালাবেন এমনটাই স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তাকে যারা সহযোগীতা করেছে তাদেরকে যেন ঈশ্বর ভাল রাখেন সেজন্য আশির্বাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরোও জানান, মধুপুর উপজেলা প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি দেয়া ঘরটি যেন তিনি দ্রুত পান সে দাবিও জানান।